আজ আমরা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো সীতাকুণ্ড দর্শনীয় স্থান সমূহ। আশা করি শেষ পর্যন্ত থেকে পুরো আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়বেন। দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড। ভ্রমণপিপাসুদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় গন্তব্য।চট্টগ্রাম বিভাগের সীতাকুণ্ড উপজেলায় বাংলাদেশের যেকোনো অঞ্চল, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর কিংবা পঞ্চগড় থেকে সহজেই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যেতে পারবেন। সীতাকুণ্ডে পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে অনেক। কি নেই এখানে। সীতাকুন্ডে গেলে প্রকৃতির অতি অপরুপ সৌন্দর্য দেখে আপনার কোনোভাবেই ইচ্ছে করবেনা ঘরে ফেরার। যদি আপনি প্রকৃতি ভালবেসে থাকেন। সীতাকুন্ড গেলে আপনার মনে হবে সৃষ্টিকর্তা বুঝি আপন হাতে খুব যত্ন করে গড়ে তুলেছে এখানকার প্রকৃতিকে।
সীতাকুণ্ড দর্শনীয় স্থান গুলো
সীতাকুণ্ড দর্শনীয় স্থান গুলোর মাঝে মহামায়া লেক, বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত, ঝরঝরি ঝর্ণা ট্রেইল, সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক, কুমিরা ঘাট, গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত, কমলদহ ঝর্ণা ট্রেইল এবং চন্দ্রনাথ পাহাড় অন্যতম। বাংলাদেশের চট্টগ্রামে রয়েছে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা সীতাকুণ্ড উপজেলা। যেখানে উপরে উল্লিখত সকল জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানের দেখা মিলবে। বাংলাদেশের যেকোনো জায়গা থেকেই সীতাকুণ্ড উপজেলা থেকে ঘুরে আসতে পারবেন। আজকের এই পোস্টে সীতাকুণ্ডের দর্শনীয় স্থান, সীতাকুণ্ড পর্যটন কেন্দ্র, সীতাকুণ্ড ট্যুর সম্পর্কিত সকল তথ্য আপনাদের কাছে উপস্থাপন করবো।
চন্দ্রনাথ পাহাড়,সীতাকুণ্ড দর্শনীয় স্থান
চট্টগ্রাম এর সীতাকুণ্ড বাজার থেকে ৪ কিলোমিটার পূর্বে চন্দ্রনাথ পাহাড় অবস্থিত। চন্দ্রনাথ পাহাড় দর্শনার্থীদের কাছে ট্রেকিং এর জন্য অন্যতম জনপ্রিয় একটি রুট। এই পাহারের আনুমানিক উচ্চতা ১০২০ ফুট। চন্দ্রনাথ পাহাড় উঠার জন্য দুইটি রাস্তা রয়েছে। ডান দিকে এবং বাম দিকে। ডানদিকের রাস্তাটি পুরোটি সিঁড়ি এবং বাম দিকের রাস্তা সম্পূর্ণ পাহাড়ি পথ। তবে, কিছু ভাঙ্গা সিঁড়ি রয়েছে। ডানদিকের সিঁড়ি দিয়ে অনেক সহজেই নামতে পারবেন। পাহাড় থেকে নামার সময় ডানদিকের পথ ব্যবহার করতে পারেন। পাহাড়ে উঠার সময় বাম দিকের পথ ব্যবহার করবেন। অথবা আপনার ইচ্ছে মতো যেকোনো রাস্তা ব্যবহার করে পাহাড়ে উঠা এবং নামা করতে পারেন।
পাহাড়ে উঠার সময় প্রায় ১ ঘণ্টা থেকে ১.৫ঘণ্টা ট্র্যাকের পর দেখা মিলবে শ্রী শ্রী বিরূপাক্ষ মন্দির এর। প্রায় প্রতি বছর শ্রী শ্রী বিরূপাক্ষ মন্দিরে শিবরাত্রি পূজা হয়। প্রতি বছর একই সময়ে সীতাকুণ্ডে শিবরাত্রি পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ পূজাকে কেন্দ্র করে সীতাকুণ্ডে অনেক বিশাল একটি মেলার আয়োজন করে থাকে সীতাকুণ্ডের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এ মেলায় আমাদের পাশের দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড সহ অনেক দেশ থেকে অসংখ্য সাধু এবং নারী-পুরুষ এসে থাকেন। শিবরাত্রি পূজা প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের দিকে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। শিবরাত্রি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মেলার নাম হচ্ছে শিবর্তুদর্শী মেলা।
বিরূপাক্ষ মন্দির থেকে ১৫০ ফুট দূরেই রয়েছে চন্দ্রনাথ মন্দির। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় চন্দ্রনাথ মন্দির অবস্থিত। বিরূপাক্ষ মন্দির থেকে চন্দ্রনাথ মন্দির যেতে যে ১৫০ ফুট রাস্তা, তার প্রায় ১০০ ফুট রাস্তা আপনাকে খাড়া পাহাড় বেয়ে উঠতে হবে। খাড়া পাহাড় বেয়ে উঠার সময় নিজেকে সামলে রাখবেন। পাহারের চূড়ায় উঠে যাওয়ার পর চন্দ্রনাথ মন্দির দেখতে পাবেন। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়া থেকে একদিকে সমুদ্র এবং অন্য দিকে পাহাড়ের সবুজতা দেখতে পাবেন। অবাক করা প্রাকৃতিক পরিবেশ আপনার মনকে দিবে প্রকৃতির সতেজতা।
পাহাড়ে উঠার সময় বাঁশের কঞ্চি কিনে নিয়ে উঠবেন। ২০ টাকায় একটি কঞ্চি কিনতে পাবেন। আবারও নেমে আসার সময় ফেরত দিলে ১০ টাকা ফেরত দিবে। বর্ষা কালে কিংবা বৃষ্টির পর এই পাহাড়ে না উঠাই ভালো। কঞ্চি যেখানে কিনবেন, সেখানেই ব্যাগ রাখার দোকান পাবেন। টাকার বিনিময়ে আপনার ভারী-জিনিসপত্র রাখতে পারবেন। উপরে অযথা কষ্ট করে বয়ে না নিয়ে যাওয়াই উত্তম। পাহাড়ের চূড়ায় সকল খাবার এবং পানির দোকান পাবেন। সাধারণ দামের থেকে ৫ টাকা বেশি নিবে। কষ্ট করে খাবার এবং পানি নিয়ে না উঠে ৫ টাকা বেশি দেয়াই ভালো।
সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক, সীতাকুণ্ড দর্শনীয় স্থান
সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক চট্টগ্রাম শহর থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। যা বর্তমানে অসাধারণ এক পর্যটন স্থান হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। এখানে সহস্র ধারা এবং সুপ্তধারা নামে দুইটি অনিন্দ্য সুন্দর ঝরনা রয়েছে। এছাড়া সীতাকুণ্ড ইকো পার্কে রয়েছে অসংখ্য দুর্লভ প্রজাতির গাছ, যা বৃক্ষ বিষয়ক জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়ক। বোটানিক্যাল গার্ডেনে রয়েছে অর্কিড হাউস, যেখানে প্রায় ৫০ ধরনের দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির অর্কিড সংরক্ষিত। পাহাড়, বৃক্ষরাজি, বন্যপ্রাণী, ঝরনা, পাখির কলরব ইকো পার্কটিকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।
উঁচুনিচু পাহাড়, বানর, খরগোশ এবং হনুমানসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর সমাহার। আছে অর্জুন, চাপালিশ, জারুল, তুন, তেলসুর, চুন্দুল সহ আরও অনেক ফুল, ফল ও ওষধি গাছ। সূর্য ডোবার সময় গোধূলির রক্তিম আভায় ইকোপার্কটিকে অপার্থিব মনে হয়। ইকো পার্কে প্রবেশ করলে একটি বড় ডিসপ্লে চোখে পড়ে, এই ডিসপ্লেতে ইকোপার্কে আসা সমস্ত পর্যটকদের ইকো পার্ক সম্পর্কে ধারণা দেওয়া আছে। সীতাকুণ্ড ইকো পার্কে চাইলে পিকনিক করতে পারবেন। এখানে পর্যাপ্ত খাবার পানি, রেস্টহাউস, টয়লেট ইত্যাদির সুবিধাসহ পিকনিকের জন্য রয়েছে যাবতীয় আয়োজন।
গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত, সীতাকুণ্ড দর্শনীয় স্থান
চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত অবস্থিত। স্থানীয় মানুষদের কাছে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত মুরাদপুর সী বিচ নামে পরিচিত। সীতাকুণ্ড বাজার থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে গুলিয়াখালি সি বীচ। গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট হচ্ছে এখানকার পুরো সমুদ্র পাড় ঢেকে আছে সবুজ ঘাসের গালিচা দিয়ে। সমুদ্রের তিন দিকে রয়েছে ছোট ছোট ম্যানগ্রোভ বন এবং অপরদিকে রয়েছে বিশাল সমুদ্র। ছোট এই ম্যানগ্রোভ বনের মাঝে রয়েছে ছোট ছোট কিছু খাল। যা বর্ষাকালে ভরপুর হয়ে থাকে।
গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত কিছুটা কম জনপ্রিয় সীতাকুণ্ড দর্শনীয় স্থান গুলোর থেকে। তাই, এখানে মানুষজন অনেক কম আসে। আপনি সমুদ্রের বিশালতা উপভোগ করতে পারবেন অনেক শান্ত একটি পরিবেশে। সাথে রয়েছে সবুজে ভরা একটি ম্যানগ্রোভ বন। মানসিক প্রশান্তির জন্য এর চেয়ে বেশি আর কি চাই! গাছপালার মাঝে ছোট ছোট খাল দেখে যে কারো মন জুড়িয়ে যাবে। সমুদ্রের বাতাস, ঢেউ এবং গাছের সৌন্দর্য যে কারো মন মাতিয়ে দিয়ে সক্ষম। আপনি চাইলে স্থানীয় জেলেদের নৌকায় করে সমুদ্রে ঘুরে আসতে পারেন।এছাড়াও, এখানে সুন্দর একটি মাঠ রয়েছে। গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত এর কাছেই রয়েছে বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত।
ঝরঝরি ট্রেইল, সীতাকুণ্ড দর্শনীয় স্থান
সবুজ পাহাড়ে ঘেরা-শান্ত শীতল ঝিরিপথ ধরে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে হবে। ঝরনার কাছে পৌঁছলেই সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। ঝরঝরি ঝরনার পাশ দিয়ে পাহাড় বেয়ে উপড়ে উঠে গেলে বেশ কয়েকটি ক্যাসকেড ও ঝরনা আপনাকে আরও মুগ্ধ করবে। বিশেষ করে সিঁড়িগুলো অনেক সুন্দর। এই ট্রেইলের শেষে রয়েছে মূর্তি ঝরনা। ঝরঝরি ঝরনা পর্যন্ত ট্রেইলটি খুব একটা কঠিন নয়, মহিলা ও শিশু ট্রাভেলাররা এখানে যেতে পারে।
সহস্রধারা ঝরনা, সীতাকুণ্ড দর্শনীয় স্থান
সীতাকুণ্ড উপজেলার চন্দ্রনাথ রির্জাভ ফরেস্ট ব্লকের চিরসবুজ বনাঞ্চল সমৃদ্ধ সীতাকুণ্ড ইকোপার্কে সহস্রধারা ঝরনাটি অবস্থিত। ইকোপার্কটি চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩৫ কি.মি. উত্তরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং রেলপথের পূর্ব পাশে অবস্থিত। বর্ষাকাল ব্যতীত বছরের অন্যান্য সময় এই ঝরনায় পানি কম থাকে। ইকোপার্কের মূল গেট থেকে ইটবিছানো পথ ধরে পাঁচ কিলোমিটার গেলে ঝরনা।
কমলদহ ট্রেইল, সীতাকুণ্ড দর্শনীয় স্থান
বড় দারোগার হাট থেকে অল্প সামনে গিয়ে ডান দিকে ইটভাটার পাশ দিয়ে রাস্তা ধরে হেঁটে রেললাইন পার হয়েই এই ট্রেইলের শুরু। ট্রেইলের প্রথম ঝরনাটি হল রূপসী। এর উপরে উঠে ঝিরিপথ ধরে হাঁটলে সামনে দুইটি রাস্তা পরে। একটি সোজা আরেকটি বাম দিকে চলে যায়। প্রথমে সোজা পথ ধরে বিশ মিনিট হাঁটলে একটি ঝরনা পাবেন। ঝরনাটির একটু আগে একটি পাথরের পাশে উপরে ওঠার পথ আছে, ঐ পথে ঝরনার উঠে ঝিরি পথ ধরে অসংখ্য ছোট মাঝারি ঝরনা পার হয়ে সর্বশেষ ছুরিকাটা ঝরনা। আবার একি পথে ফিরে আসতে হবে।
অন্যান্য দর্শনীয় স্থান
সীতাকুণ্ডে দেখার মতো অনেক দর্শনীয় জায়গা আছে। সীতাকুণ্ডের পাশেই মিরেরসরাই ও ভাটিয়ারিতেও আছে অনেক দর্শনীয় স্থান। শুধু সীতাকুণ্ডেই আছে দেখার মতো অনেক ঝরনা-ঝিরি ও পাহাড়-লেক। আপনার সুযোগ অনুযায়ী সাজিয়ে নিতে পারেন আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা।
সীতাকুণ্ড কিভাবে যাবেন
বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নানা ভাবে সীতাকুণ্ড আসা যায়। ঢাকা থেকে শ্যামলী, হানিফ, এস.আলম, সৌদিয়া, গ্রীনলাইন, সিল্ক লাইন, সোহাগ, বাগদাদ এক্সপ্রেস, ইউনিক ইত্যাদি পরিবহন কোম্পানির বাস আসে চট্টগ্রাম। যে কোনো বাসে উঠে সীতাকুন্ড বাজারে নেমে যাবেন। ভাড়া নিবে নন এসি বাসে ৬৮০ টাকা। এসি বাসে ৮৫০ থেকে ১৬০০ টাকা। অবশ্যই বাসের সুপারভাইজারকে আগে থেকে বলে রাখবেন আপনি সীতাকুন্ড বাজারে নামবেন।
চট্টগ্রাম শহর থেকেও আসতে পারেন সীতাকুন্ড। চট্টগ্রামের অলংকার মোড়, এ কে খান মোড়, কদমতলী থেকে ফেনী গামী বাসে উঠে চলে আসবেন সীতাকুন্ড। ভাড়া ৮০/১০০ টাকা। এছাড়া প্রাইভেট কার, সিএনজি রিজার্ভ করেও আসতে পারেন। সিএনজি ভাড়া ২৫০/৩০০ টাকা। এছাড়া ফেনী এসে সেখান থেকে চট্টগ্রাম গামী বাসে উঠে আসতে পারেন সীতাকুন্ড।
কোথায় থাকবেন এবং কোথায় খাবেন?
সীতাকুণ্ডে কিছু সাধারণ মানের হোটেল পাবেন। সীতাকুণ্ড বাজারে হোটেল সাইমুন নামে একটি হোটেল আছে, যেখানে ৩০০ থেকে ৭০০ টাকায় রুম পাবেন। সীতাকুণ্ড পৌরসভার ডি টি রোডে হোটেল সৌদিয়া নামে একটি আবাসিক হোটেল আছে। হোটেলটিতে ৮০০ থেকে ১৬০০ টাকায় কয়েক ধরনের রুম পাওয়া যায়। আরও ভালো কোথাও থাকতে চাইলে আপনাকে চট্টগ্রাম শহরে চলে যেতে হবে।
এছাড়া নয়দুয়ারি বাজারে খুঁজলে মধ্যম মানের কিছু হোটেল পাবেন। সীতাকুণ্ডে খাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি হোটেল আছে। এদের মধ্যে আল আমীন হোটেলের খাবার মোটামুটি ভালো মানের। আর যদি চট্টগ্রাম যান, তবে এখানে সব ধরনের খাবার রেস্টুরেন্ট পাবেন।
শেষ কথা
আজকের এই পোস্টে আমি সীতাকুণ্ড দর্শনীয় স্থান সমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি সীতাকুণ্ড দর্শনীয় স্থান সমূহের এই তথ্য গুলোর পোস্টটি আপনার জন্য অনেক সহায়ক হবে। সীতাকুণ্ড দর্শনীয় স্থান গুলোর মাঝে আপনার পছন্দের স্থানের নামটি জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। ধন্যবাদ।