মহাস্থানগড় l মহাস্থানগড় কোন নদীর তীরে অবস্থিত

মহাস্থানগড়
মহাস্থানগড়

আসসালামু আলাইকুম আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজ আমরা আপনাদের মাঝে আলোচনা করব মহাস্থানগড় এর অবস্থান, ইতিহাস এবং দর্শনীয় স্থান নিয়ে। আশা করি আমাদের সঙ্গেই থাকবেন। বাংলাদেশের পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যপূর্ণ স্থান হলো মহাস্থানগড়। প্রাচীন এই পুরাকীর্তিটি রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলা থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার উত্তরে শিবগঞ্জ উপজেলার করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত আছে। মহাস্থানগড় প্রাচীন বাংলার পুণ্ড্রবর্ধনের অংশ ছিল। পুণ্ড্রবর্ধন ছিল প্রাচীন বাংলার সবচেয়ে সমৃদ্ধ জনপদ মধ্যে একটি। এই পুণ্ড্রবর্ধনের রাজধানী ছিল পুণ্ড্রনগর, যা পরবর্তী সময়ে মহাস্থানগড় হিসেবে পরিচিত লাভ করে। মৌর্য সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল এটি।

মহাস্থানগড় এর ইতিহাস

মহাস্থানগড় এর বিস্তীর্ণ ধবংসাবশেষ বগুড়া জেলা শহরের ১৩ কিঃমিঃ উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। সেন বংশের শেষ রাজা লক্ষ্মণ সেন (১0৮২-১১২৫) যখন গৌড়ের রাজা ছিলেন তখন এই গড় অরক্ষিত ছিল । মহাস্থানগড় এর রাজা ছিলেন নল যার বিরোধ লেগে থাকত তার ভাই নীল এর সাথে। এসময় ভারতের দাক্ষিণাত্যের শ্রীক্ষেত্র নামক স্থান থেকে এক অভিশপ্ত ব্রাহ্মণ এখানে অসেন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে। কারণ তিনি পরশু বা কুঠার দ্বারা মাতৃহত্যার দায়ে অভিশপ্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনিই এই দুই ভাইয়ের বিরোধের অবসান ঘটান এবং রাজা হন। এই ব্রাহ্মণের নাম ছিল রাম। ইতিহাসে তিনি পরশুরাম নামে পরিচিত। কথিত আছে পরশুরামের সাথে ফকির বেশি আধ্যাত্মিক শক্তিধারী দরবেশ হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (র:) এর যুদ্ধ হয়। (১২0৫-১২২0) যুদ্ধে পরশুরাম পরাজিত ও নিহত হন।

এটি ছিল মৌর্য, গুপ্ত, পাল ও সেন রাজাদের সময়ে বাংলার গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এছাড়া মুসলিম শাসনামলেও এর গুরুত্ব ছিল। কিন্তু এখন সেসবের ধ্বংসাবশেষ অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র। তবু সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে মহাস্থানগড়। বর্তমানে মহাস্থানগড় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক সংরক্ষিত। ২০১৬ সালে মহাস্থানগড়কে সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

দূর্গের বাইরে উত্তর ,পশ্চিম , দক্ষিণ ও দক্ষিণপশ্চিম ৭/৮ কিলোমিটারের মধ্যে এখনও বিভিন্ন ধরণের বহু প্রাচীন নিদের্শন রয়েছে যা উপশহরের সাক্ষ্য বহন করে। উল্লেখ্য, বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হুয়েন সাঙ ভারতবর্ষ ভ্রমণকালে (৬৩৯-৬৪৫) পুন্ড্রনগর পরিদর্শন করেন। প্রখ্যাত বৃটিশ প্রত্নতত্ববিদ স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম ১৮৭৯ খৃষ্টাব্দে মহাস্থানগড় এর ধ্বংসাবশেষকে ‘ফুয়েন সাঙ’ বর্ণিত পুন্ডু নগর হিসেবে সঠিকভাবে সনাক্ত করেন।

বেস্টনী প্রাচীর ছাড়াও পূর্ব দিকে নদী ও অপর তিনদিকে গভীর পরিখানগরীর অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন হতে জানা যায় যে, কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত মহাস্থানগড় পরাক্রমশালী মৌর্য , গুপ্ত এবং পাল শাসকবর্গের প্রাদেশিক রাজধানী ও পরবর্তীকালে হিন্দু সমান্তরাজাগণের রাজধানী ছিল।

মহাস্থানগড় এর চারদিক বেষ্টন করে রেখেছে প্রাচীর। প্রাচীর বেষ্টিত মহাস্থানগড় এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন আমলের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত দুর্গটি উপর থেকে দেখতে আয়তাকার। এটি উত্তর-দক্ষিণে ১.৫২৩ কিলোমিটার এবং পূর্ব-পশ্চিমে ১.৩৭১ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। আশেপাশের এলাকা থেকে দুর্গ প্রাচীরটি প্রায় ১১ থেকে ১৩ মিটার উঁচু।

‘মহাস্থান’ মানে পবিত্র স্থান, এবং ‘গড়’ মানে দুর্গ। আজ থেকে প্রায় ২,৫০০ বছর আগে গড়ে ওঠা এই স্থানটি বৌদ্ধ শিক্ষার জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। চীন ও তিব্বত থেকে অনেক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী এখানে লেখাপড়ার জন্য আসতেন। এরপর তারা দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তেন এ শিক্ষার বিস্তার ঘটাতে। স্থানটি সম্পর্কে চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ তার ভ্রমণকাহিনীতে লিখে গেছেন।

মহাস্থানগড় এর অবস্থান

মহাস্থানগড় এর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে বহু সংখ্যক প্রাচীন নিদর্শন। প্রায় তিন হাজার বছর আগে থেকে শুরু করে মুসলিম যুগের শেষ পযর্ন্ত বহু নিদর্শন প্রত্নতাত্বিকগণ খনন কাজের মাধ্যমে বের করেছেন। এসব দেখে স্পষ্টই বোঝা যায় যে, সত্যই মহাস্থানগড় একটি ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থান ছিল।

সুদূর অতীতের স্মৃতি বুকে ধরে মহাস্থানগড় ইতিহাসের পাতায় ঘুমিয়ে থাকলেও অনুসন্ধিৎসু মানুষ তাকে ভুলেনি। আজও বহু পযর্টক, বহু গবেষক এবং বনভোজন পার্টির আনাগোনায় ও ভিড়ে মহাস্থানগড় চঞ্চলতা ও আনন্দ উল্লাসে মুখরিত। মহাস্থানগড় এর অবস্থান বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার(৬.৮ মাইল) উত্তরে বগুড়া রংপুর মহাসড়কের পাশে। মনে করা হয় এখানে শহর পত্তনের মূল কারণ এটি বাংলাদেশের একটি অন্যতম উচ্চতম অঞ্চল। ভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৬ মিটার (১১৮ ফুট) উঁচু। এছাড়া মহাস্থানগড় বেছে নেওয়ার আরেকটি কারণ হল করতোয়া নদীর অবস্থান ও আকৃতি। নদীটি ১৩ শতকে বর্তমান গঙ্গা নদীর তিনগুণ বেশি প্রশস্ত ছিল। মহাস্থানগড় বরেন্দ্র অঞ্চলের লাল মাটিতে অবস্থিত যা পলিগঠিত অঞ্চল হতে কিছুটা উঁচু। ১৫-২০ মিটার উপরের অঞ্চলগুলোকে বন্যামুক্ত ভূপ্রাকৃতিক অঞ্চল বলে ধরা যায়।

মহাস্থানগড় দর্শনীয় স্থান

বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রাচীন পর্যটন কেন্দ্র মহাস্থানগড়। এখানে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু স্থান।

মাজার শরীফ, জাদুঘর, খোদার পাথর ভিটা, মানকালীর ঢিবি, বৈরাগীর ভিটা, স্কন্ধের ধাপ, মঙ্গলকোট স্তুপ, গোকুল মেধ, ট্যাংরা বৌদ্ধ স্তুপ, বিহার ধাপ, ভাসু বিহার, ভিমের জঙ্গল, কালীদহ সাগর, শীলাদেবীর ঘাট, জিয়ৎ কুন্ড, গোবিন্দ ভিটা।

বেহুলা লখিন্দরের বাসরঘর

ঐতিহাসিকদের মতে, মূলত এটি হলো একটি বৌদ্ধ মঠ। সম্রাট অশোক এটি নির্মাণ করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। তবে লোককাহিনী অনুযায়ী, এটি বেহুলা-লখিন্দরের বাসরঘর নামে পরিচিত বেশি পরিচিত। চাঁদ সওদাগর তার ছেলে লখিন্দরকে দেবী মনসার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এখানকার একটি গোপন কুঠুরিতে বন্ধ করে রেখেছিলেন। বিয়ের রাতে বেহুলা এবং লখিন্দর গোপন কুঠুরিতে অবস্থান করা সত্ত্বেও সেখানে দেবী মনসার প্রেরিত সাপ প্রবেশ করে এবং লখিন্দরকে দংশন করেছিল।

খোদার পাথর ভিটা

এটি হলো একটি লম্বা এবং আয়তাকার মসৃণ পাথর। ধারণা করা হয়, রাজা পরশুরাম এই পাথরকে বলি দেওয়ার কাজে বেশি ব্যবহার করতেন। বর্তমানে হিন্দু ধর্মাবলম্বী অনেক নারী এ পাথর দুধ এবং সিঁদুর দিয়ে স্নান করান প্রতিনিয়ত। অনেকে খালি পায়ে দুধ ঢেলে ভক্তি নিবেদন করে থাকেন।

শীলাদেবীর ঘাট

মহাস্থানগড় এর পূর্বদিকে করতোয়া নদীর তীরে এই  ঘাট অবস্থিত। রাজা পরশুরামের বোন হলেন শীলাদেবী। কথিত আছে, রাজা পরশুরাম হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (র)-এর কাছে পরাজিত হওয়ার পরে শীলাদেবী এ স্থানে আত্মাহুতি দেন। এখনো প্রতি বছর অনেক হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভক্ত এখানে পূজা দেন এবং স্নান করে থাকে।

গোবিন্দ ভিটা

এটি মহাস্থানগড় জাদুঘরের ঠিক সামনে দিকে অবস্থিত। ‘গোবিন্দ ভিটা’ অর্থ দেবতা বিষ্ণুর আবাসস্থল ছিল। এখানে একটি মন্দির রয়েছে। তবে বৈষ্ণব ধর্মের কোনো নিদর্শন এখানে পাওয়া যায়নি।

ভাসু বিহার

স্থানীয়ভাবে এটি নরপতির ধাপ নামে বেশি পরিচিত। এখানে বৌদ্ধ সংঘারামের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। ধারণা করা হয়, এটি হলো একটি বৌদ্ধ ধর্মপীঠ ছিল।

পরশুরামের প্রাসাদ

এখানে পাল আমলে নির্মিত ইমারতের নিদর্শন পাওয়া যায়। তবে স্থানীয়ভাবে এটি পরশুরামের প্রাসাদ হিসেবে পরিচিত লাভ করে।

ভীমের জাঙ্গাল

এটি একটি দীর্ঘ বাঁধ, যা বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য রাজা ভীম কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল বলে মনে করা হয় থাকে। ভীমের জাঙ্গাল ইতালির বৃত্তাকার দুর্গের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। আরো একটি মতানুসারে, এটি গ্রাম এ বন্যা থেকে বাঁচার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। মহাস্থানগড় এর তিন দিক পর্যন্ত পরিবেষ্টিত এবং উত্তরাঞ্চলের প্রায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত এর বিস্তৃতি আছে। এখানে বহু মঠ আছে।

এছাড়া এখানে আরো কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে, তা হলো যেমন- মানকালীর ঢিবি, বৈরাগীর ভিটা, স্কন্ধের ধাপ, মঙ্গলকোট স্তুপ, টেংরা বৌদ্ধ স্তুপ, তোতারাম পণ্ডিতের ধাপ, বিহার ধাপ,  কালিদহ সাগর ইত্যাদি ইত্যাদি।

ধ্বংস ও পুনরুদ্ধার

১৪ শতকের দিকে শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ গৌর, বঙ্গ, পুণ্ড্র, সমতট, হরিকেল নিয়ে বাঙালা নামে রাজ্য গড়ে তোলার ফলে মহাস্থানগড় এর গুরুত্ব কমে গিয়েছে। ফলে ১৫ শতকের দিকে মহাস্থানগড় এ মানুষের আনাগোনা কমে যায় এবং এটি তার পূর্বের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেছে। কালক্রমে এটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে থাকে। বহু বছর এই জায়গাটি মানুষের কাছে অজানা রয়ে যায়। অতঃপর ১৮০৮ সালে সর্বপ্রথম ফ্রান্সিস বুকানন হ্যামিল্টন এই ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ আলেকজান্ডার কানিংহাম এই ধ্বংসাবশেষকে প্রাচীন পুণ্ড্রনগর বলে নিশ্চিত করেছিলেন।

১৯২৮ – ২৯ খ্রিস্টাব্দে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অভ ইন্ডিয়ার তৎকালীন মহাপরিচালক কাশীনাথ নারায়ণ দীক্ষিতের তত্ত্বাবধানে মহাস্থানগড় এর প্রথম প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ আরম্ভ হয়েছিল। ১৯৩১ সালে প্রথম এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলে ব্রাহ্মী লিপির সন্ধান মিলেছিল, যাতে সম্রাট অশোক কর্তৃক দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষকে সাহায্য করার তথ্য পাওয়া গিয়েছে।

মহাস্থানগড় থেকে সামান্য উত্তরে গেলে দেখা পাওয়া যাবে মহাস্থানগড়  ঐতির্যবাহী প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরের। এটি প্রথম ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মহাস্থানগড় খনন করে যেসব মূল্যবান জিনিসপত্র পাওয়া গেছে, তা এখানে সংরক্ষিত আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন দেব-দেবতার মূর্তি আছে, বিভিন্ন যুগের মুদ্রা আছে, স্মারকলিপি আছে, মাটির তৈজসপত্র আছে, পোড়ামাটির ফলক, সিলমোহর,  শিলালিপি, আত্মরক্ষার অস্ত্র, মূল্যবান অলঙ্কার সামগ্রী, সোনা, রূপা, লোহা, কাঁসা, তামাসহ বিভিন্ন মূল্যবান ধাতব সামগ্রী রয়েছে।

মহাস্থানগড় কিভাবে যাতায়াত করবেন

ঢাকা থেকে সহজে বাস বা ট্রেনে করে বগুড়া যাওয়া যায়। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে রংপুর এক্সপ্রেস কিংবা লালমনি এক্সপ্রেসেও বগুড়া যাওয়া যায়। বগুড়ার হাড্ডিপট্টি অথবা রেলস্টেশন থেকে খুব সহজেই বাসে কিংবা অটোরিকশা নিয়ে প্রায় ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে মহাস্থানগড় এ পৌঁছে যাওয়া যায়। প্রতি বছর বহু পর্যটক মহাস্থানগড় এ বেড়াতে আসেন।

মহাস্থানগড় কোথায় থাকবেন এবং কোথায় খাবেন

মহাস্থানগড় এ রাত যাপনের মতো ভালো কোনো হোটেল নেই বললেই চলে। তাই থাকার জন্য বেছে নিতে পারেন বগুড়া শহরের মধ্যে হোটেল গুলো। সব ধরনের ও মানের থাকা–খাওয়ার জায়গা পাবেন এখানে আপনারা। প্রায় ৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকায় রাত্রি যাপনের ভালো ব্যবস্থা হয়ে যাবে। বেছে নিতে পারেন

আপনারা শহরতলির বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে অবস্থিত মহাস্থান থেকে প্রায় ৬-৭ কিলোমিটার দক্ষিণে নওদাপড়ায় টিএমএসএস সিএনজি পাম্পের পাশে অত্যাধুনিক নির্মাণশৈলীসহ আভিজাত্যময় নবনির্মিত চার তারকা হোটেল ‘হোটেল মম ইন’, ছিলিমপুরে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের পাশে ফোর স্টার হোটেল ‘নাজ গার্ডেন’, শহরতলির চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের পাশে হোটেল ‘সেফওয়ে’ এবং ‘সেঞ্চুরি মোটেল’, বনানীতে ‘সিয়াস্তা’ কিংবা ‘পর্যটন হোটেল’, দ্বিতীয় বাইপাসে মাটি-ডালি মোড়ের কাছে ক্যাসেল ‘সোয়াদ’ কিংবা বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথার কাছে শেরপুর রোডে মফিজপাগলার মোড়ে অবস্থিত আছে ‘ম্যাক্স হোটেল’। চাইনিজ, বাংলাসহ সব ধরনের খাবারের ব্যবস্থা আছে এই সব হোটেল গুলোতে। তবে বগুড়া এলে এখানকার প্রসিদ্ধ দই, ক্ষিরসা ও মহাস্থানগড় এর ‘কট্কটি’ সাথে নিতে ভুলবেন না আপনারা।

Bangladesh

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *