শৈল শহরের রানী নামে পরিচিত দার্জিলিং (Darjeeling) ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত। দার্জিলিং তার ভূ-প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, চা ও দার্জিলিং হিমালয় রেলওয়ের জন্য বিখ্যাত। দার্জিলিং এর জনপ্রিয়তা ব্রিটিশ রাজের সময় থেকেই বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে এটি যখন তাদের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হিসাবে গড়ে উঠেছিল। পূর্বে দার্জিলিং ছিল প্রাচীন গোর্খা রাজধানী। পরে সিকিমের মহারাজা ব্রিটিশদের দার্জিলিং উপহার করেন। দার্জিলিং তার অনাবিল সৌন্দর্য এবং মনোরম জলবায়ুর কারণে ভারতের একটি জনপ্রিয় ছুটির গন্তব্য হয়ে আসছে। পর্যটন ছাড়াও, দার্জিলিং তার বিভিন্ন ব্রিটিশ শৈলীযুক্ত বেসরকারি বিদ্যালয় গুলির জন্য জনপ্রিয়, যা ভারত জুড়ে এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশগুলি থেকেও ছাত্র-ছাত্রীদের আকর্ষণ করে।
দার্জিলিং এর স্থানীয় মানুষেরা গোমাংস এবং মসুর দিয়ে ভাত খেতে পছন্দ করেন। অন্যান্য জনপ্রিয় স্থানীয় খাবার হল মম (মাংস বা সবজি দিয়ে পিঠার মত খাবার), থুপকা (মাংস এবং নুডলস দিয়ে তৈরি একটি ঘন স্যুপ), গানড্রাক (গাঁজানো সরিষা পাতা) এবং চ্যাং (স্থানীযবিয়ার)।
দার্জিলিং (Darjeeling) ভূ-পৃষ্ট থেকে ৭,১০০ ফুট উচ্চতায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই শহরে প্রায় পুরো বছর জুড়েই ঠাণ্ডা থাকে। মেঘের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত দার্জিলিং তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, চা এবং রেলওয়ের জন্য বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। দার্জিলিংয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার অনুপম সৌন্দর্য ও টাইগার হিলের সূর্যোদয় দেখার সাথে সাথে অসংখ্য দর্শনীয় স্থানের জন্য প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক এই শহরে ভিড় জমায়।
দার্জিলিং-এ দেখার মতো জায়গা
ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকে, দার্জিলিং তার সুন্দর দৃশ্য এবং অনুকূল জলবায়ুর কারণে একটি আদর্শ অবকাশের স্থান হিসাবে পরিচিত। শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয়, দার্জিলিং-এ অবস্থিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এশিয়ার শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে।
দার্জিলিং এর দর্শনীয় স্থানসমূহ
ছোট বড় মিলিয়ে বেড়ানোর জন্য প্রায় ১৭টি আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে দার্জিলিং জুড়ে।
- পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত রেলওয়ে স্টেশন ঘুম।
- আছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০,০০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়া থেকে অপূর্ব সুন্দর সূর্যোদয় দেখা।
- পৃথিবীর বিখ্যাত প্রার্থনা স্থান ঘুম মোনাস্ট্রি।
- ছবির মতো অপূর্ব সুন্দর স্মৃতিসৌধ বাতাসিয়া লুপ বিলুপ্ত প্রায় পাহাড়ি বাঘ Snow Lupard খ্যাত দার্জিলিং চিড়িয়াখানা।
- পাহাড়ে অভিযান শিক্ষাকেন্দ্র হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউট।
- সর্বপ্রথম এভারেস্ট বিজয়ী তেনজিং-রক- এর স্মৃতিস্তম্ভ।
- কেবল কারে করে প্রায় ১৬ কিলোমিটার এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে ভ্রমণ।
- হ্যাপি ভ্যালি টি গার্ডেনে বসে তাৎক্ষণিকভাবে পৃথিবীখ্যাত ব্ল্যাক টি পানের অপূর্ব অভিজ্ঞতা।
- যুদ্ধবিধ্বস্ত শরণার্থী কেন্দ্র তিব্বতিয়ান সেলফ হেলপ্ সেন্টার।
- সমুদ্র-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮,০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত মনোরম খেলাধুলার স্থান দার্জিলিং গোরখা স্টেডিয়াম।
- নেপালি জাতির স্বাক্ষর বহনকারী দার্জিলিং মিউজিয়াম।
- পৃথিবীর বিখ্যাত বৌদ্ধ বিহার জাপানিজ টেম্পল।
- ব্রিটিশ আমলের সরকারি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র কাউন্সিল হাউস ‘লাল কুঠির’
- অসাধারণ শৈল্পিক নিদর্শন খ্যাত ‘আভা আর্ট গ্যালারি’।
- শতবর্ষের প্রাচীন মন্দির ‘দিরদাহাম টেম্পল’।
- পাথর কেটে তৈরি ‘রক গার্ডেন’ এবং গঙ্গামায়া পার্ক।
- মহান সৃষ্টিকর্তার বিশাল উপহার হিমালয় কন্যা কাঞ্চনজংঘা।
- বিশুদ্ধ পানির অবিরাম বয়ে যাওয়া ভিক্টোরিয়া ফলস।
- মেঘের দেশে বসবাসরত এক সুসভ্য জাতির সংস্কৃতি।
ভ্রমণের ক্ষেত্রে উপযুক্ত সময়
দার্জিলিং-এ এপ্রিল থেকে জুন ও অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের সময়টাতে আবহাওয়া সবচেয়ে ভালো থাকে। আর তাই এই ছয় মাস দার্জিলিং ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে সুন্দর সময়।
দার্জিলিং যাওয়ার উপায়
দার্জিলিং একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হওয়ায়, এটি দেশের অন্যান্য অংশ গুলির সাথে ভাল ভাবে সংযুক্ত। এখানে দার্জিলিং যাওয়ার উপায় বলা হয়েছে।
ট্রেনে বা রেলপথে
দার্জিলিং-এ পৌঁছানোর নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন নিউ-জলপাইগুড়িতে অবস্থিত এবং এটি দার্জিলিং থেকে 88 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। স্টেশন থেকে দার্জিলিং-এ গাড়ির মাধ্যমে গেলে প্রায় ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট সময় লাগে। ভারত জুড়ে সব ট্রেনগুলি এই স্টেশনে পৌঁছায়। ভারতের কলকাতা ও দিল্লী থেকে এই স্টেশনে পৌঁছানোর ট্রেনগুলির একটি তালিকা হল –
দিল্লী থেকে
- সিকিম মহানন্দা এক্সপ্রেস/ ১৫৪৮৪
- নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেস/ ১২৫০৬
- নিউ দিল্লী-ডিব্রুগড় টাউন রাজধানী এক্সপ্রেস / ১২৪২৪
- নিউ দিল্লী-নিউ জলপাইগুড়ি এস.এফ এক্সপ্রেস/ ১২৫২৪
- ব্রহ্মপুত্র মেল ১৪০৫৬
- পূর্বোত্তর সম্পর্ক-ক্রান্তি এক্সপ্রেস/ ১২৫০২
কলকাতা থেকে
- কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস/ ১৫৬৫৭
- তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস/ ১৩১৪১
- হাওড়া – নিউ জলপাইগুড়ি শতাব্দী এক্সপ্রেস/ ১২০৪১
- সরাইঘাট এক্সপ্রেস/ ১২৩৪৫
- কামরূপ এক্সপ্রেস/ ১৫৯৫৯
- উত্তর বঙ্গ এক্সপ্রেস/ ১৩১৪৭
- কাঞ্চন-কন্যা এক্সপ্রেস/ ১৩১৪৯
- দার্জিলিং মেল ১২৩৪৩
- পদাতিক এক্সপ্রেস/ ১২৩৭৭
দার্জিলিং ট্যুর প্ল্যান
দার্জিলিং ঘুরে দেখার একটা ছোট ও কম খরচের ট্যুর প্ল্যানের আইডিয়াঃ
- ১ম দিন : রাতের বাসে ঢাকা থেকে বুড়িমারীর উদ্দেশ্যে রওনা (নন এসি/এসি বাস)
- ২য় দিন : সকালে বুড়িমারী নেমে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কাজ শেষে শেয়ার্ড/রিসার্ভ জীপ অথবা বাসে শিলিগুড়ি। সেখানে দুপুরের খাবার খেয়ে রিজার্ভ/শেয়ার্ড টাটা সুমো নিয়ে প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘন্টার পাহাড়ি পথ দেখতে দেখতে দার্জিলিং। হোটেলে চেকইন করে ফ্রেশ হয়ে শহরের আশপাশ ঘুরে নিতে পারেন সেইদিন বিকেল সন্ধ্যায়।
- ৩য় দিন : সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে রিজার্ভ জীপ দার্জিলিং শহর এর দর্শনীয় স্থান গুলো ঘুরে বেড়াবেন। দুপুরে কোন রেস্টুরেন্টে খেয়ে নিন। সন্ধ্যারে আগে হোটেলে ফিরে আসুন। সন্ধ্যার পরের সময়টা যেভাবে ইচ্ছে কাটাতে পারেন। শপিং কিংবা অন্য কিছু করার থাকলে করে নিন। রাতে খেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন।
- ৪র্থ দিন : ফিরে আসার দিন। খুব ভোরে বের হয়ে পড়ুন। জীপ নিয়ে চলে যান টাইগার হিল। সেখান থেকে সূর্যোদয় দেখুন আর উপভোগ করুন পৃথিবীর ৩য় উচ্চতম পর্বত কাঞ্চনজঙ্ঘা এর অসাধারণ ভিউ। তারপর ঘুরে আশেপাশে আরও কিছু দেখার বাকি থাকলে ঘুরে দেখে নিতে পারেন। তারপর চলে আসুন শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ি থেকে বর্ডারে এসে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কাজ শেষে বর্ডার পার হয়ে সন্ধ্যায় উঠে পড়ুন ঢাকার বাসে।
দার্জিলিং ভ্রমণ খরচ
খরচ কত হবে তা নির্ভর করে সাধারণত আপনি কোন সময় যাচ্ছেন, কতদিন থাকবেন, কেমন মানের হোটেলে থাকবেন, খাবারের পিছনে কেমন খরচ করবেন। এমন অনেক গুলো বিষয়ের উপর। মোটামুটি বাজেটের কথা চিন্তা করলে ঢাকা থেকে দার্জিলিংয়ে যাতায়াত, থাকা, খাওয়া বাবদ ৫ রাত ৪ দিন (৩ রাত দার্জিলিং থাকা) থাকতে জনপ্রতি ১৫,০০০ থেকে ১৮,০০০ টাকা খরচ হতে পারে। আর কম খরচে ঘুরতে চাইলে কয়েকজন মিলে গ্রুপ করে গেলে এবং শেয়ার জীপে যাতায়াত, হোটেলে শেয়ার করে থাকা ও খাওয়া দাওয়া এই সবকিছুতে মিলেমিশে করলে জনপ্রতি ১০-১২ হাজার টাকার মধ্যেও সুন্দর করে ঘুরে আসা সম্ভব। যদি ৩ রাত না থেকে ২ রাত থাকেন তাহলে খরচ আরও কমে যাবে।
দার্জিলিংয়ে কোথায় থাকবেন
দার্জিলিং-এ বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল ও হোমস্টে রয়েছে। বাজেট হোটেলের মধ্যে হোটেল টাওয়ার ভিউ, দেজং রেট্রেট, এভারেস্ট গ্লোরি, কি কিবা ধী, হোটেল ইভি ক্যাসেল, হোটেল এভারেস্ট গ্লোরি, পাহাড়ি সোল, বেনু’স এর মতো হোটেল গুলোতে ৬০০-৮০০ এর মধ্যে দুই জনের জন্য থাকার রুম পেয়ে যাবেন।
আবার একটু বেশী বাজেটের মধ্যে হলেও পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয় নিউ সিঙ্গালিয়া পার্ক হোমস্টে, হিমশিখা হোমস্টে, ফ্রাতেরনিতি হোমস্টে, মাউন্টেইন হোমস্টে এর মতো হোম স্টে গুলোতে ৯০০-২০০০ টাকার মধ্যে দুই জন থাকতে পারবেন।
অনালাইনে রুম বুকিং এর ক্ষেত্রে booking.com, hotels.com, expedia এর মতো সাইটগুলো চেক করে দেখবেন। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী অনেক হোটেল পেয়ে যাবেন। কোন হোটেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্যেও এই সাইট গুলোর রিভিউ ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গুলো দেখে নিতে পারেন।
দার্জিলিংয়ে কোথায় কি খাবেন
দার্জিলিং এর স্থানীয়রা ভাতের সাথে গরুর মাংস এবং মসুর ডাল খেতে খুব পছন্দ করেন। রেস্টুরেন্টের মধ্যেকুঙ্গা, হাস্টি টেস্টি, পেনাং, সোনামস কিচেন, কেভেন্টার’স,গ্লেনারিস, শাংরি লা, কেভেন্টারস, লুনার এর মতো রেস্টুরেন্ট গুলোতে দার্জিলিং এর স্থানীয় খাবারের পাশাপাশি থাই, ইন্ডিয়ান বা বাঙ্গালি খাবার পাবেন। আর জনপ্রিয় স্থানীয় খাবারের মধ্যে গানড্রাক (গাঁজানো সরিষা পাতা), মম (মাংস বা সবজি দিয়ে পিঠার মত খাবার), থুপকা (মাংস, নুডলস, ডিম ও সবজি দিয়ে তৈরি ঘন স্যুপ), আলু দম, নাগা প্ল্যাটার এবং চ্যাং (স্থানীয় বিয়ার) খেয়ে দেখবেন। আর অবশ্যই মাটির ছোট কাপে দার্জিলিং এর স্পেশাল চা ও দার্জিলিং এর কমলা খেতে ভুলবেন না।
দার্জিলিং এ কেনাকাটা কোথায় করবেন
দার্জিলিং শহরের লাডেন-লা রোডের কোল ঘেঁষে রয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় মার্কেট। দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহার্য প্রায় সব জিনিসই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার ক্রয়- ক্ষমতার মধ্যে। সবচেয়ে ভালো পাবেন শীতের পোশাক। হাতমোজা, কানটুপি, মাফলার, সোয়েটারসহ যে কোন প্রকারের লেদার জ্যাকেট পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দমতো মূল্যে। তাছাড়া ১০০ থেকে ৫০০ রুপির মধ্যে পেয়ে যাবেন অসাধারণ কাজ করা নেপালি শাল এবং শাড়ি যা আপনার পছন্দ হতে বাধ্য। প্রিয়জনকে উপহার দিতে সর্বনিম্ন ২০ রুপি থেকে ২৫০ রুপির মধ্যে পেয়ে যাবেন বিভিন্ন অ্যান্টিক্স ও নানাবিধ গিফট আইটেম, যা আপনার প্রিয়জনের ভালোবাসা কেড়ে নিতে সক্ষম। তাছাড়া আকর্ষণীয় লেদার সু আর বাহারি সানগ্লাস তো আছেই। কেনাকাটা করতে গিয়ে প্রতারিত হওয়ার আশংকা একেবারেই নেই। তবে হোটেলগুলোতে কিছু নেপালি তরুণ-তরুণী ভ্রাম্যমাণ ফেরি করে শাল, শাড়ি বিক্রয় করে থাকে। তাদের কাছ থেকে না কেনাটাই উত্তম।
কিছু ভ্রমণ টিপস
- বর্ষা মৌসুমে দার্জিলিং-এ পাহাড় ধস ঘটে তাই এই সময়টা দার্জিলিং-এ না যাওয়াই ভালো।
- পাহাড়ের উপর অবস্থিত টুরিস্ট স্পটে যাওয়ার ক্ষেত্রে হিল স্যান্ডেল এড়িয়ে ভালো মানের স্লিপার বা স্যান্ডেল পড়বেন।
- দার্জিলিংয়ের লোকাল দোকানের চেয়ে বড় বড় শপিং মল বা মার্কেট থেকে কেনাকাটা করলে ভালো জিনিস পাবেন ও ঠকার সম্ভাবনাও কম থাকবে।
- পিকসিজনে পর্যটকদের প্রচণ্ড ভিড় থাকে আর তাই হোটেল গুলোতেই রুম পাওয়ার জটিলতা এড়ানোর জন্য অবশ্যই অগ্রিম হোটেল বুকিং দিয়ে রাখবেন।
- দার্জিলিং এ হোটেলে রুম বুক করার আগে হোটেলে গরম পানি আর রুম হিটারের ব্যবস্থা আছে কিনা জেনে নিন।
- হিমালায়ান পার্ক যথাযথ কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রিত পরিষ্কার পরিচ্ছন একটি পার্ক তাই পার্কে ঘুরাঘুরি করা সময় যথা সম্ভব পরিচ্ছনতা বজায় রাখবেন ও কোনও প্রাণীদের অযথা বিরক্ত করবেন না।
- দার্জিলিং রক গার্ডেন থেকে খাবারের রেস্টুরেন্টগুলো বেশ দূরে তাই এখানে ঘুরতে গেলে সাথে খাবার নিয়ে যাওয়া ভালো।
- অবশ্যই টাকা বা ডলার সরকার অনুমোদিত ডিলারের কাছে থেকে রুপিতে পরিবর্তন করে নিতে ভুলবেন না।