শহীদ মিনার l কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের স্থপতি কে?

শহীদ মিনার
শহীদ মিনার

শহীদ মিনার ভাষা শহীদদের জন্য নির্মিত একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই স্তম্ভটি, যা বর্তমানে ‘শহীদ মিনার’ নামে পরিচিত, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাসের প্রাঙ্গণে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখার জন্য নির্মিত হয়েছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।

স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার? ভয় কি বন্ধু, আমরা এখনো

চারকোটি পরিবার

খাড়া রয়েছি তো! যে-ভিত কখনো কোনো রাজন্য

পারেনি ভাঙতে

হীরের মুকুট নীল পরোয়ানা খোলা তলোয়ার

খুরের ঝটকা ধুলায় চূর্ণ যে পদ-প্রান্তে

যারা বুনি ধান

গুণ টানি, আর তুলি হাতিয়ার হাঁপর চালাই

সরল নায়ক আমরা জনতা সেই অনন্য।

ইটের মিনার

ভেঙেছে ভাঙুক! ভয় কি বন্ধু, দেখ একবার আমরা জাগরী

চারকোটি পরিবার।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

১৯৫২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশের হাতে প্রথম শহীদ মিনার ধ্বংসের প্রতিক্রিয়ায় কবি আলাউদ্দিন আল আজাদ ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ শিরোনামের এই কবিতাটি লেখেন। আলাউদ্দিন আল আজাদ প্রথম শহীদ মিনার ধ্বংসের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বর্বরতার পরপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলে বসে এই কবিতাটি লেখেন আলাউদ্দিন আল আজাদ।

সেদিন ইটভাটা শহীদ মিনার ভেঙ্গে গেলেও ভাষার মর্যাদা রক্ষায় লাখো প্রাণ দিয়ে যে দৃঢ়চেতা ও অমর মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল তা পাকিস্তানের বর্বর শাসকগোষ্ঠীর কাছে নড়ে উঠতে পারেনি। প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের সেই দীর্ঘ সংগ্রাম শুধু মাতৃভাষার মর্যাদাই রক্ষা করেনি, ১৯৭১ সালে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিল।

আজও অশুভের বিরুদ্ধে আপসহীন দ্বন্দ্বে বাঙালির প্রধান অস্ত্র হচ্ছে সর্বজনীন ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় নির্মিত একুশের শহীদ মিনার। কিন্তু ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশে যে শহীদ মিনারটি আমরা গর্বিতভাবে দেখতে পাই, সেটিও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছিল।

ভূমিকা

২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারির শহীদদের স্মরণে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ শেষ হয়।

প্রথম শহীদ মিনারটি বর্তমান শহীদ মিনারের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে (মেডিকেল হোস্টেল শেড নম্বর ১২ এর পূর্ব প্রান্তে) হোস্টেলের মধ্যবর্তী রাস্তার একটি কোণে নির্মিত হয়েছিল। শহীদদের রক্তে ভেজা জায়গায় নির্মিত সাড়ে ১০ ফুট উঁচু ও ৬ ফুট চওড়া এই ছোট্ট স্থাপনাটি নির্মাণের পর কাগজে ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ লিখে তাতে সাঁটানো হয়।

প্রথম শহীদ মিনার যেভাবে নির্মিত হয়েছিল

প্রকৌশলী শরফুদ্দিনের তত্ত্বাবধানে প্রথম শহীদ মিনারের নকশা করেন বদরুল আলম ও সৈয়দ হায়দার। তাদের সহায়তা করেছিল দুই ইটভাটা; যাদের নাম এখনো জানা যায়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ সম্প্রসারণের জন্য পুরান ঢাকার পিয়ারু সরদার গুদাম থেকে ইট, বালি ও সিমেন্ট আনা হয়। সকালে এটি একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।

শহীদ মিনার উদ্বোধন ও ধ্বংস

২৪ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারের নির্মাণকাজ শেষ হয়। সেদিন সকালে শহীদ শফিউরের বাবা শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন। আরও জানা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টার দিকে দৈনিক আজাদ পত্রিকার সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন। ওই দিন পুলিশ মেডিকেল হোস্টেল ঘেরাও করে এবং শহীদ মিনার গুঁড়িয়ে দেয়।

পরবর্তী প্রসঙ্গ

নির্মিত প্রথম শহীদ মিনার ভেঙ্গে গেলেও শাসকগোষ্ঠী শহীদদের মন থেকে মুছে ফেলতে পারেনি। তাই ঢাকা মেডিকেলের অনুকরণে দেশের বেশ কয়েকটি লেজ বিশ্ববিদ্যালয়েও শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলার পর ঢাকা কলেজে নির্মিত শহীদ মিনারও শোষকদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। এ সময় দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্মিত শহীদ মিনার ভেঙে পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে।

১৯৫৩ সাল থেকে শিক্ষার্থীরা ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করতে শুরু করে। ঢাকা মেডিকেল হোস্টেল প্রাঙ্গণে, শহীদ মিনারের ফাঁকা জায়গায় লাল কাগজের হুবহু প্রতিলিপি স্থাপন করা হয়েছিল এবং কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। সকালের প্রথম ফেরি শহীদ মিনার থেকে ছেড়ে যায়।

দ্বিতীয়বারের মতো শহীদ মিনার নির্মাণের পরিকল্পনা

১৯৫৪ সালের ৩ মে যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় আসে। একুশ দফায় প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস ও ওই দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলেও ৩০ মে যুক্তফ্রন্ট সরকার উৎখাত হয়। ফলে সে বছর তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ১৯৫৬ আবুল হোসেন সরকার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তৎকালীন পূর্ত সচিব আবদুস সালাম খান মেডিকেল হোস্টেল প্রাঙ্গণে শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের স্থান নির্ধারণ করেন।

শিল্পী হামিদুর রহমানের পরিকল্পনা

১৯৫৫ সালে, শিল্পী হামিদুর রহমান একটি বিশাল জায়গার উপর শহীদ মিনার কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য একটি নকশা তৈরি করেন। তার ভাস্কর সহকর্মী নভেরা আহমেদের সাথে তিনি মেডিকেল হোস্টেল সুবিধার নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এ পরিকল্পনায় শহীদ মিনারের পাশে অসম্ভব নির্মাণশৈলীতে সমৃদ্ধ একটি জাদুঘর, লাইব্রেরি, ফোয়ারা ও ম্যুরাল নির্মাণ করা হবে। তার পরিকল্পনা ছিল খুবই অগ্রসর।

কিন্তু ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারির পর কমপ্লেক্স নির্মাণ বন্ধ হয়ে যায়। তারপরও ১৯৬২ সাল পর্যন্ত এই অসম্পূর্ণ ও খণ্ডিত শহীদ মিনারটি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, শপথ গ্রহণ এবং ফুল দিয়ে লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল।

শহীদ মিনার নির্মাণের তৃতীয় ধাপ

১৯৬২ সাল আজম খানের নির্দেশে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর এবং তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী মূল নকশাটি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত ও হ্রাস করা হয়েছিল। মূল নকশাকে খণ্ডিত করে আরেকটি নকশা তৈরি করা হয়েছে। এই নকশা অনুযায়ী নির্মিত শহীদ মিনারটি ১৯৬৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ বরকতের মা হাসিনা বেগম উদ্বোধন করেন।

স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাক্কালে শহীদ মিনার

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিষাক্ত আক্রমণ থেকে রেহাই পায়নি বাঙালি চেতনার এই কেন্দ্রবিন্দু। আবারও ভেঙ্গে ফেলা হয় শহীদ মিনার। কিন্তু বাঙালি হৃদয়ের চির দৃঢ় চেতনাকে তা ভাঙতে পারেনি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক শহীদ মিনার ভেঙ্গে সেখানে একটি “মসজিদ” নির্মাণ করা হয়।

বর্তমান শহীদ মিনার

১৯৭২ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নতুন করে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু এবারও শহীদ মিনারের মূল নকশা উপেক্ষা করে ১৯৬৩ সালে সংক্ষিপ্ত ও খণ্ডিত নকশা দিয়ে শহীদ মিনার নির্মিত হয়।

১৯৭৬ সালে একটি নতুন নকশা অনুমোদিত হয়। কিন্তু নানা কারণে তা আর আলোর মুখ দেখেনি। ১৯৮৩ সালে শহীদ মিনারের সুবিধা সম্প্রসারণ করা হয়। সেই থেকে বর্তমান শহীদ মিনার বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের চেতনার গৌরবের প্রতীক হয়ে আছে।

শহীদ মিনারের পরিচিতি

বর্তমান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোট পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে। মাঝের কলামটি সবচেয়ে লম্বা এবং শীর্ষটি সামনের দিকে বাঁকা। এই লম্বা স্তম্ভের দুপাশে সমান আকারের আরও চারটি স্তম্ভ রয়েছে।

মা তার চার সন্তানের সাথে অভিভাবক হিসেবে মাঝখানে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আড়ালে উঠছে উজ্জ্বল লাল সূর্য। অর্থাৎ রফিক, জব্বার, সালাম ও বরকতের মতো মাতৃভাষার অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় প্রাণ দিয়েছেন। একইভাবে দেশের সার্বভৌমত্ব ও মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় তাদের সন্তানরা মায়ের পাশে থাকে। আর পেছনের লাল সূর্য স্বাধীনতার উৎস, নতুন দিন, আলো যা অন্ধকার দূর করে।

ভাষা কর্মী এবং প্রখ্যাত লেখক ও প্রাবন্ধিক আহমদ রফিকের ভাষায়, ‘শহীদ মিনার শুধু ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিই নয়, আমাদের অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎসও। পবিত্র বেদীর কাছে গিয়ে সমস্ত অন্যায়, অবিচার, নিপীড়ন, সাম্প্রদায়িকতা, অসহিষ্ণুতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করার শপথ নেওয়ার একটি পবিত্র স্থান।”

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এখনো অসম্পূর্ণ

স্বাধীন বাংলাদেশেও আমাদের প্রাণের শহীদ মিনার স্বার্থপর চক্রের হামলার শিকার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় শহীদ মিনারের পাদদেশ মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ। ২০০০ সালের দিকে, একটি আগ্রহী গোষ্ঠী ধীরে ধীরে একটি মাজার এবং একটি মসজিদ তৈরি করে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আশপাশের চার একর জমির একটি অংশও একদল দখল করে নিয়েছে। সেখানে তারা বেশ কিছু স্থাপনা তৈরি করে। ফলে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ ও বাঙালি চেতনার প্রতীক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ভবনটি চরমভাবে হুমকির মুখে পড়েছে।

পরবর্তীতে হাইকোর্টের আদেশে এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আশপাশের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। মসজিদ-অভয়ারণ্য উচ্ছেদ করা হয়। এর পরপরই শহীদ মিনারের চারপাশে নিরাপত্তা দেয়াল তৈরি করা হয়।

হাইকোর্টের রায়ের পর চার বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে ভাষা জাদুঘর ও পাঠাগার নির্মাণ করা হয়নি। কবে নাগাদ এ জাদুঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলা মুশকিল। তবে রায় বাস্তবায়ন না করায় সরকারকে আদালত অবমাননার অভিযোগের মুখে পড়তে হয়েছে।

হাইকোর্টের রায়ে শুধু জাদুঘর নির্মাণই নয়, ভাষা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস (সংক্ষিপ্ত তথ্য) সম্বলিত বাংলা ও ইংরেজিতে পুস্তিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা এই ব্রুশিয়ার ভাষাগত গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য পেতে পারেন। ২০১০ সালের ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট ৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে এই রায় দেন। রায়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে ৩১ জানুয়ারি ২০১২ সালের আগে জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়।

রায়ে যা আছে

শহীদ মিনার সংরক্ষণের দায়িত্ব রাষ্ট্রের এবং রাষ্ট্র এ দায়িত্ব অবহেলা করতে পারে না। তাই শহীদ মিনার সংরক্ষণে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন আদালত। কারণ সংবিধানের 24 অনুচ্ছেদে বাঙালি জাতির ইতিহাস সংরক্ষণের দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারকে অর্পণ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সরকার এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে হয় না।

শুধু ভাষা জাদুঘর নির্মাণই নয়, ভাষা সৈনিকদের প্রকৃত তালিকা তৈরি, ভাষা শহীদদের ছবি ও সংক্ষিপ্ত জীবনী সংবলিত প্যানেল/প্যানেল স্থাপন, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, সরকারকে বাধা দিতে। ফেব্রুয়ারিতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ব্যতীত বছরের অন্য সময়ে মূল বেদিতে যে কোনো ধরনের মিটিং, মিছিল, মিছিল, মৃত্যু হানা থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়।

রায়ে আরও বলা হয়, শহীদ মিনার সংগ্রামের প্রতীক, শহীদ মিনার সৃষ্টির প্রতীক। শহীদ মিনার পুরাতন রাষ্ট্র সমাজ ভেঙ্গে নতুন রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনের প্রতীক। শহীদ মিনা অন্যায় শাসন ও শোষণের অবসানের লড়াইয়ের প্রতীক। শহীদ মিনা আর্থ-সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠার প্রতীক। শহীদ মিনার একটি জনপ্রিয় মিনার, শহীদ মিনার সকল মানুষের জন্য উন্মুক্ত। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ জাতি, ধর্ম, সম্প্রদায়, শ্রেণী বা পেশা নির্বিশেষে মানুষের মিলনস্থল। সবাইকে শহীদ মিনারে আসতে হবে, কিন্তু কেন? কারণ শহীদ মিনার মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে যায়, শহীদ মিনার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে। সকল জাতির মাতৃভাষার প্রতীক শহীদ মিনার।

২০১০ সালে ভাষা সৈনিকদের স্মরণে নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মর্যাদা, গাম্ভীর্য ও পবিত্রতা রক্ষার জন্য মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’ হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে।

কিভাবে যাবেন?

ঢাকার যেকোন প্রান্ত থেকে রিকশাযোগে আপনি সহজেই শহীদ মিনার এলাকায় পৌঁছাতে পারেন।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের স্থপতি কে?

বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী হামিদুর রহমান মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত শহীদ মিনারের স্থপতি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *