কুয়াকাটা l কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত কীভাবে যাবেন?

কুয়াকাটা
কুয়াকাটা

আসসালামু আলাইকুম আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমরা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো কুয়াকাটা জেলার সকল দর্শনীয় স্থান নিয়ে।  আশা করি শেষ পর্যন্ত থেকে পুরো আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়বেন। দেরি না করে শুরু করা যাক।

কুয়াকাটা নামকরণের ইতিহাস ও সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

কুয়াকাটা এর অপর নাম সাগর কন্যা যা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি সৌন্দর্যমন্ডিত স্থান হিসাবে পরিচিত লাভ করেছে। কুয়াকাটা বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার লটাচাপলি ইউনিয়নে অবস্থিত ও এর বীচটি প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ। জেলা সদর হতে প্রায় ৭০ কিলোমিটার, ঢাকা হতে প্রায় ৩২০ কিলোমিটার দুরে।

ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, রাখাইনদের মাতৃভূমি হিসেবে খ্যাত বার্মার আরাকান রাজ্য এক সময়ে বর্মী রাজা দখল করে নিয়েছিল। রাজার সৈনিকদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে রাখাইরা দল বেঁধে বড় বড় নৌকায় করে সাগরে ভাসতে ছিলেন। ভাসতে ভাসতে একটি সময় একটি নির্জন দ্বীপে নৌকা আটকে গেলে তারা সেখানে নেমে পড়ে। ওই দ্বীপটি ছিল পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী দ্বীপ। এরপর তারা সেখানে বসবাস শুরু করেন। এর মধ্যে কিছু রাখাইন পরিবার ওই স’ানে বসবাস না করে তারা বনাঞ্চলের মধ্যে ঢুকে বনের গাছপালা কেটে সেখানে বসবাস শুরু করেন। বনাঞ্চলে বসবাস করার উদ্দেশ্যে ছিল যাতে সহজভাবে খাবার সংগ্রহ করা। যে বনাঞ্চল কেটে তারা বসবাস শুরু করেন সেটিই হচ্ছে বর্তমান কুয়াকাটা।

তখন ওই বনের নির্দিষ্ট কোন নাম ছিল না। থাকলেও রাখাইন সমপ্রদায়ের লোকজন তার নাম কখনোই জানত না। যার ফলে সাগর পাড়ি দিয়ে ওই স্থানে পৌঁছে বসবাস শুরু করায় রাখাইন ভাষায় তারা নামকরণ করে কানশাই। কানশাই শব্দের বাংলা অর্থ হলো ভাগ্যকুল। কিন্তু রাখাইন লোকজন এখানে বসবাস করলেও তাদের প্রধান প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল পানি। সাগরের পানি লবণাক্ত হওয়াই তা খাওয়া সম্ভবপর ছিল না কোনো ভাবে। এজন্য তারা নিজ উদ্যেগে একটি কুয়া খনন করে তা থেকে মিঠা পানি পান করত তারা। মিঠা পানির কুয়ার নামানুসারে নামকরণ করা হয়ে ছিল কুয়াকাটা। রাখাইন সমপ্রদায়ের লোকজন কুয়ার মিঠা পানি শুধুমাত্র পান করত তারা। বাকি কাজ হতো সাগরের পানি দিয়ে।

কুয়ার সন্নিকটেই তারা স্থাপন করেছিল ৩৭ মণ ওজনের ধ্যানমগ্ন অষ্টধাতুর বৌদ্ধ মূর্তি। মন্দিরের নির্মাণ সৌন্দর্যে  ইন্দ্রিয় চীনের স্থাপত্য অনুসরণ করা হয়। দেখলে মনে হবে থাইল্যান্ড, লাওস বা মিয়ানমারের কোন মন্দির দেখতেছি। প্রায় সাড়ে তিন ফুট উঁচু বেদির উপর মূর্তিটি বসানো হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মের আড়াই হাজার বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ৮৩ বছর পূর্বে অষ্টধাতুর ওই মূর্তিটি ওই স্থানে স্থাপন করা হয় বলে রাখাইন সমপ্রদায়ের ইতিহাস থেকে জানা যায় এটুকু। প্রায় ৭ ফুট উচ্চতার এ বৌদ্ধ মূর্তিটি স্থাপন করেন উপেংইয়া ভিক্ষু নামের এক লোক। আর তখন মন্দিরের দায়ক (পরিচালনায়) ছিলেন বাচিন তালুকদার। এ অঞ্চলের রাখাইন সমপ্রদায়ের বলিষ্ট নেতা হিসেবে পরিচিত বাচিন তালুকাদার ১৯৯৯ সালে মারা যান। তার ছেলে অং সুমিং তালুকদার মন্দিরের দায়িত্ব নেন। তিনিই এখনো মন্দির ও কেরানীপাড়ার দায়িত্বে আছেন। মন্দিরের পাশেই ইন্দ্র চীন স্থাপত্যের অনুকরণে নির্মাণ করা হয়েছে শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহারটি। সেখানে বসে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ধর্ম সভা করেন। মন্দিরের নীচেই হচ্ছে সেই ঐতিহাসিক কুয়াটি। বর্তমানে সেই কুয়ার পানি খাওয়ার অনুপোযোগী অর্থাৎ পরিত্যক্ত জেক বলে। তারপরও কুয়াকাটা এর ঐতিহ্য ধরে রাখতে কুয়াটিকে নতুনভাবে সংস্কার করা হয়েছে যাতে কখনো নষ্ট না হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় অপূর্ব স্থাপত্যকলার সমন্বয়ে মন্দিরটি পুনঃ নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে আসছে। এর চারদিকে পাকা ও উপরে ছাদ দেয়া হয়েছে। কুয়াকাটা আসা পর্যটকরা যাতে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে কুয়ার দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন সেজন্য প্লাষ্টিক টিন দিয়ে একটি লন তৈরি করা হয়েছে সেখানে।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

কুয়াকাটা এর বেলাভূমি অনেক পরিচ্ছন্ন। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে কুয়াকাটা সৈকত থেকেই কেবল সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। সৈকতের পূর্ব প্রান্তে গঙ্গামতির বাঁক থেকে সূর্যোদয় সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা মেলে। আর সূর্যাস্ত দেখার উত্তম জায়গা হল কুয়াকাটার পশ্চিম সৈকত পারে।

কুয়াকাটা এর সমুদ্র সৈকত প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। সৈকত লাগোয়া পুরো জায়গাতেই আছে দীর্ঘ নারিকেল গাছের সারি সারি। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে কুয়াকাটা এর বনেও। বিভিন্ন সময়ে সমুদ্রের জোয়ারের উচ্চতা ভেদে বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনের কবলে পড়েছে সুন্দর এই নারিকেল বাগানটি। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতেই সারা বছরই দেখা মিলবে জেলেদের মাছ ধরার অসাধারণ দৃশ্য।

শুঁটকি পল্লী কুয়াকাটা

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম প্রান্তে জেলে পল্লী। এখানে জেলেদের আবাসস্থল। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে চলে মূলত শুঁটকি তৈরির কাজ গুলো। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে এনে সৈকত পারেই শুঁটকি তৈরি করেন জেলেরা। কম দামে ভালো মানের শুঁটকিও কিনতে পাওয়া যায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পারে।

গঙ্গামতির জঙ্গল কুয়াকাটা

কুয়াকাটা এর সমুদ্র সৈকত শেষ হয়েছে পূর্ব দিকে গঙ্গামতির খালে গিয়ে। এখান থেকেই গঙ্গামতির জঙ্গল  শুরু হয়েছে। অনেক লোকে একে গজমতির জঙ্গলও বলে থাকেন। নানান রকম বৃক্ষরাজির সাথে এ জঙ্গলে আছে বিভিন্ন রকম পাখি, বন মোরগ-মুরগি, বানর ইত্যাদি ইত্যাদি।

ক্রাব আইল্যান্ড

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে পূবদিকে গঙ্গামতির জঙ্গল ছাড়িয়ে আরও সামনে গেল পাওয়া যাবে ক্রাব আইল্যান্ড বা কাঁকড়ার দ্বীপ। এ জায়গায় আছে লাল কাঁকড়ার প্রচুর বসবাস। নির্জনতা পেলে এ জায়গার সৈকত পার লাল করে বেড়ায় কাঁকড়ার দল। ভ্রমণ মৌসুমেতে (অক্টোবর-মার্চ) কুয়াকাট সমুদ্র সৈকত থেকে স্পিড বোটে করে যাওয়া যায় ক্রাব আইল্যান্ডে।

ফাতরার বন

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম পাশে নদী পার হলেই পড়বে সুন্দরবনের শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল, নাম তার ফাতরার বন। সুন্দরবনের সব বৈশিষ্ট এ বনে থাকলেও নেই তেমন হিংস্র প্রাণী। বন মোরগ, বানর আর নানান পাখি আছে এ বনে বেশ। কদাচিৎ এ বনে বুনো শুকরের দেখা মিলবে। কুয়াকাটা থেকে ফাতরার বনে যেতে হবে ইঞ্জিন নৌকায় করে।

কুয়াকাটার কুয়া

কুয়াকাটা নামকরণের ইতিহাসের পেছনে যে কুয়া সেটি এখনও টিকে আছে কুয়াকাটায়। তবে কয়েক বছর আগে অদূরদর্শী ও কুরুচিকর সংস্কারের ফলে এর সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে বলেই চলে। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের কাছেই রাখাইনদের বাসস্থল। কেরাণিপাড়ার শুরুতেই প্রাচীন কুয়ারটির অবস্থান।

কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান

আপনি যদি প্রকৃতিপ্রেমী আর পাশাপাশি অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় হয়ে থাকেন তবে কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান আছে ঘুরে দেখতে পারেন আপনারা। এটি কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই উদ্যানটি প্রায় ১৬১৩ হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে।

এখানে দেখা মিলবে আপনাদের বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর। নৌকায় বা পায়ে হেঁটে পার্কটি ঘুরে দেখা যাবে সানন্দে এবং এই জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে মন খুলে।

আলিপুর বন্দর

মাছ ধরার কার্যক্রম ও মাছ ব্যবসা দেখতে চাইলে আপনাদের কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত আলিপুর বন্দর ঘুরে আসতে হবে। আলিপুর বন্দর দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম মাছ ধরার কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি, যেখানে দেখতে পাওয়া যাবে তীরে নোঙর করা শত শত মাছ ধরার ট্রলার এবং নৌকা। চাইলেই স্বল্পমূল্যে স্থানীয় জেলেদের কাছ থেকে তাজা মাছ এবং সামুদ্রিক খাবার কেনা যায়।

জনশ্রুতি আছে ১৭৮৪ সালে বর্মী রাজা রাখাইনদের মাতৃভূমি আরাকান দখল করলে তখন বহু রাখাইন জায়গাটি ছেড়ে নৌকাযোগে আশ্রয়ের খোঁজে বেড়িয়ে পড়েন। চলতি পথে তারা বঙ্গোপসাগরের তীরে রাঙ্গাবালি দ্বীপের খোঁজ পেয়ে সেখানে বসতি স্থাপন করেছেন। সাগরের লোনা জল ব্যবহারের অনুপযোগী বলে মিষ্টি পানির জন্য তারা এখানে একটি কূপ খণন করছিলেন। এরপর থেকে জায়গাটি কুয়াকাটা নামে পরিচিতি লাভ করে।

সীমা বৌদ্ধ মন্দির

কুয়াকাটা এর প্রাচীন কুয়ার সামনেই সীমা বৌদ্ধ মন্দির এর অবস্থান। কাঠের তৈরি এই মন্দিরটি কয়েক বছর আগে ভেঙে দালান তৈরি করা হয়েছে। তবে মন্দিরের ভিতরে এখনও আছে প্রায় ৩৭ মন ওজনের প্রাচীন অষ্টধাতুর তৈরি বুদ্ধ মূর্তিটি।

কেরানিপাড়া

সীমা বৌদ্ধ মন্দির থেকে সামনেই দিকেই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রাখানদের আবাসস্থল কেরানিপাড়ায়। এখানকার রাখাইন নারীদের প্রধান কাজ কাপড় বুণন করা। রাখাইনদের তৈরি শীতের চাদর বেশ আকর্ষণীয় হয়।

মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির

কুয়াকাটা সৈকত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায় রাখাইনদের একটি গ্রামের নাম মিশ্রিপাড়া। এখানে রয়েছে বড় একটি বৌদ্ধ মন্দির। কথিত রয়েছে এ মন্দিরের ভেতরে আছে উপমাহাদেশের সবচেয়ে বড় বুদ্ধ মূর্তি। এছাড়া এখান থেকে সামান্য একটু দূরে আমখোলা গ্রামে আছে এ অঞ্চলে রাখাইনদের সবচেয়ে বড় বসতি।

কীভাবে যাবেন কুয়াকাটা?

ঢাকা থেকে নদী ও সড়ক পথে কুয়াকাটা আপনারা যাইতে পারবেন। সবচেয়ে সহজ যাতায়াত ব্যবস্থা হল ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে পটুয়াখালী, সেখান থেকে বাসে কুয়াকাটা যাওয়া।

ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে পটুয়াখালী যায় এমভি পারাবত, এমভি সৈকত, এম ভি সুন্দরবন প্রভৃতি লঞ্চ গুলো। ভাড়া প্রথম শ্রেণীর একক কেবিন প্রায় ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা, দ্বৈত কেবিন প্রায় ১ হাজার ৮শ’ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।

কুয়াকাটা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে কুয়াকাটা এর বাস সার্ভিসও রয়েছে। এছাড়া ঢাকার গাবতলী বাস স্টেশন থেকে সাকুরা পরিবহন, দ্রুতি পরিবহন এবং সুরভী পরিবহনের বাস যায় কুয়াকাটাতে। ভাড়া প্রায় সাড়ে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা। এছাড়া কমলাপুর বিআরটিসি ডিপো থেকেও প্রতিদিন সকাল ও রাতে কুয়াকাটা এর রুটে বাস ছাড়ে।

কোথায় থাকবেন কুয়াকাটায়

কুয়াকাটায় পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে বিভিন্ন মানের হোটেল। সবচেয়ে ভালো আবাসন ব্যবস্থা পর্যটন করপোরেশনের ইয়ুথ ইন কুয়াকাটা (০৪৪২৮-৫৬২০৭)। এ হোটেলে প্রায় ১ হাজার ৫শ’ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিভিন্ন মানের কক্ষ পাওয়া যায়। এছাড়া এখানে পর্যটন করপোরেশনের আর একটি হোটেল হল পর্যটন হলিডে হোম (০৪৪২৮-৫৬০০৪)। এ হোটেলে প্রায় ৮শ’ ২ হাজার ১শ’ টাকায় কক্ষ পাওয়া যায়। দুটি হোটেলেরই বুকিং দেওয়া যায় ঢাকার পর্যটনের প্রধান কার্যালয় থেকে। যোগাযোগ নম্বর ০২-৮৮১১১০৯, ০২-৯৮৯৯২৮৮।

এছাড়া কুয়াকাটায় অন্যান্য ভালো মানের হোটেল মধ্যে হোটেল বনানী প্যালেস (০৪৪২৮-৫৬০৪২), হোটেল নীলাঞ্জনা (০৪৪২৮-৫৬০১৭), হোটেল গোল্ডেন প্যালেস (০৪৪২৮-৫৬০০৫),  হোটেল কুয়াকাট ইন (০৪৪২৮-৫৬০৩১)  ইত্যাদি। এসব হোটেলে প্রায় ৬শ’ থেকে ২ হাজার টাকা।

পরিশেষে

পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সী-বিচের অপার সুন্দর্যে নিজের চোখে না দেখলে বলে বোঝানো খুবেই কঠিন হয় যা শুধু দেখলেই উপভোগ করা যায় প্রাণ ভোরে। তখন মনে হবে বিরাট এক অগ্নিকুন্ড আস্তে আস্তে সাগর ভেদ করে আসমানের দিকে উঠে যাচ্ছে আবার সূর্যাস্তের সময় সাগরের ঢেউয়ের মধ্যে আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে সূর্যটা। মনে হয় সাগরের মধ্যেই সূর্যের বাড়ি ঘর আছে।

পূর্ণিমার রাতে সী বিচ অপরূপ রূপে সাজে যা দেখার মত হয়। চাঁদের আলোয় বিশাল বিশাল ঢেউগুলো যেন মনেহয়  কাছে ডাকে আমাদেরকে। আর আমাবশ্যায় অন্ধকার রাতে দেখা যায় আরেক অপূর্ব দৃশ্য ফসফরাসের মিশ্রণে সাগরের ঢেউগুলো থেকে আলোর বিচ্ছুরণ ছড়ায় যা দেখতে অসাধারণ লাগে। কুয়াকাটা এর সী বিচের সৌন্দর্য লিখে শেষ করা সত্যিই খুবই কঠিন একটা ব্যাপার। আশা করি আপনারা সময় করে এই অপরূপ সুন্দর্যের কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ঘুরে আসবেন।  আমাদের সাথে থেকে পুরো আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাদর কে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Bangladesh

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *